বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীনে স্কলারশিপসহ উচ্চশিক্ষা
উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেতে দেখা যায়।যদিও ইউরোপে পড়াটা অনেক ব্যয়বহুল, এবং বর্তমানে সোনার হরিণের মতো।তাই অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের স্বপ্ন পূরন করতে পারেনা। সেসব ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য চীনে স্কলারশিপসহ উচ্চশিক্ষা ইউরোপের স্বপ্ন পুরনের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছ।বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী বৃত্তি নিয়ে পড়তে যাচ্ছে চায়না তে।২০১৭ সালে তা বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে, কেননা বর্তমানে বিশ্বের ১ নাম্বার অর্থনীতির দেশ চায়নাতে রয়েছে স্থায়ীভাবে বসবাসের সূযোগ।প্রতিবছর চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর,মাস্টার্স,এবং পিএসডির জন্য স্কলারশিপ দেওয়া হয়।স্কলারশিপের বিভিন্ন প্রকার রয়েছে,কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি+হোস্টেল ফি+মাসিক ভাতা প্রদান করে থাকে, কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আবার টিউশন ফি+হোস্টেল ফি প্রদান করে থাকে,কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আবার শুধু ৪ বছরের টিউশন ফি প্রদান করে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, যেসব ভার্সিটি ফি+হোস্টেল ফি+মাসিক ভাতা প্রদান করে থাকে তাদের কিছু শর্ত থাকে,তার মধ্যে ক্লাসে ৯০ শতাংশ উপস্থিতি,কোন বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়া যাবেনা, কোন বিষয়ে ৭০-৮০ শতাংশের কম নাম্বার পাওয়া যাবেনা। তাই যারা মনে করেন এরকম শর্ত মানা যাবেনা তাদের জন্য শর্তছাড়া মানে আনকন্ডিশনাল স্কলারশিপই ভালো।
শিক্ষার মানঃ চীনের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমানের, পড়ালেখার মান ও বিশ্বমানের।যাদের র্যাংকিং বাংলাদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে অনেক এগিয়ে।এবং এখানের শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি অনেক যত্নশীল।তারা ক্ষুদে বার্তা বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখার খবর নিয়ে থাকেন।
যেভাবে স্কলারশিপ পাবেনঃ চীনে স্কলারশিপের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় লাইসেন্সকৃত এজেন্সীর মাধ্যমে আবেদন করতে হয়, তবে বর্তমানে অনেক ইউনিভার্সিটি অনলাইনে সরাসরি আবেদন গ্রহন করছে। এরপর ৭-১০ দিনের মধ্যে এডমিশন লেটার এবং ২৫-৩০ দিনের মধ্যে চায়না সরকারের অনুমতি পত্র jw202 পাওয়া যায়।
যেসব বিষয়ে স্কলারশিপ পাবেনঃ চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন বিষয়ে স্কলার দিয়ে থাকে,তারমধ্যে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়ো-কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যটারিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং সহ ব্যবসা বিভাগ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে স্কলারশিপ প্রধান করে থাকে।
পার্ট-টাইম জবঃ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মতো চীনেও অনেক পার্ট-টাইম জব রয়েছে,তবে পার্ট-টাইম জব করতে হলে প্রথমে চাইনীজ শিখত হবে,এবং বিশ্ববিদ্যলয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তারাই পার্ট-টাইম জব ম্যানেজ করে দেয়, আর যদি নিজে নিজে ম্যানেজ করতে পারে তাহলে কাজ করার পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই অবহিত করতে হবে। তবে পার্ট টাইম জবের আশা করে পড়তে আসা বোকামি। এজন্য অর্থনীতিক সাপোর্ট নিয়ে আসা ভালো, যেন নিজের ডিগ্রীটা কমপ্লিট করা যায়।
চীনে লাইফস্টাইলঃ চীনে থাকা খাওয়ার খরচ প্রায় বাংলাদেশের মতোই, ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেরা হোস্টেলে রান্না করে থাকে, এবং মাসে ৩০০০-৫০০০ টাকায় খাওয়া দাওয়া খরচ হয়ে যায়। প্রথম প্রথম যারা আসবে তাদের জন্য চাইনীজ খাবার খাওয়া কষ্টসাধ্য হবে, তাই নিজেরা বাজারে গিয়ে মাছ, মুরগি, গরুর মাংস, ডিম, শাক-সবজি এনে রান্না করে খেতে পারে।এতে যেমন খরচ কম পড়বে তেমনি সু-স্বাদু বাঙ্গালী খাবারও খাওয়া যাবে।
সংগ্রহ: ফজলে রাব্বি
হেনান পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটি
জাজুয়া,হেনান,চায়না