এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশালি দেশ কোরিয়া সম্প্রতি সময়ে শ্রমিক সংকটে পড়েছে।
কোরিয়ার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও নিউজের বিশ্লেষণের প্রতীয়মান হচ্ছে যে, আগামী ২/৩ বছর এ থেকে অনেক কষ্ট করে উঠতে হবে কোরিয়াকে।
বিশ্বের শ্রেষ্ঠ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশালি অনেক দেশের না পারলেও কোরিয়া কিন্তু করোনাকালীন এ সময়ে তাদের GNI বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি অনেক নতুনছোট বড় শিল্প কারখানা এই বছর বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও কিছু কিছু কোম্পানি আবার বন্ধও হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি সময়ে কোরিয়ার শেয়ার মার্কেটেও আলোর গতি ছড়াচ্ছে। এত সব মিলিয়ে কোরিয়ায় আগামী দুই থেকে তিন বছর প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন হবে। কিন্তু কোরোনা ভাইরাসের জন্য কোরিয়াতে নতুন শ্রমিক আসা প্রায়ই বন্ধ। পাশাপাশি পুরাতন শ্রমিকদেরও মেয়াদ শেষ হওয়া হওয়ার কারণে অনেকেই দেশে ফেরত চলে যাচ্ছে। তাই আর শ্রমিকের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না।
আবার এদিকে কিছু কিছু শ্রমিক করোনার জন্য কোরিয়াতে আটকে পড়ে আছে। সময়মতো যেতেও পাচ্ছে না, আবার নিয়ম না থাকায় কাজ করতে পারছে না। তাই এসব নিয়ে সরকারকে আবার নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। বর্তমান শ্রমিক সংকট মোকাবেলার জন্য যারা দেশে যেতে পারছে না, মানে যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাদেরকে আবার বিভিন্ন সেক্টরে স্বল্পমেয়াদে নিয়োগ দিচ্ছে। আবার গত ২৪ তারিখে দেখা গেছে, কোরিয়ার সংসদে নতুন করে আরেকটা বিল পাস হয়েছে। এতে এই শ্রমিক সংকট মোকাবেলায়, স্বল্পমেয়াদী শ্রমিকদের কমপক্ষে আরো ১ বছর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর চিন্তা করছে।
অন্যদিকে অনেক ছাত্র-ছাত্রী বর্তমানে কোরিয়াতে ক্লাস না হওয়ার কারণে একেবারে প্রায় ঘরে বসে আছে। শোনা যাচ্ছে কিছু এজেন্সি ছাত্র-ছাত্রীদেরকেও বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু ছাত্র ছাত্রী এজেন্সির মাধ্যমে পার্ট টাইম হিসেবে বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজও করছে।
সুতরাং এটা স্পষ্ট যে, বর্তমানে কোরিয়ায় প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন কিন্তু করোনাভাইরাস এর যথাযথ নিয়ন্ত্রণ না থাকায় অনেক দেশের শ্রমিকই চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এই বছর কোরিয়ায় ঢুকতে পারবে না। ফলে যারা কোরিয়ায় আছে বর্তমানে তাদের অনেক বেশি বেশি কাজ করতে হবে নতুন শ্রমিক না আসা পর্যন্ত।