কোরিয়াতে আবারও করোনাভাইরাস এর প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত শুক্রবার ও আজ শনিবার প্রায় ৮০০ কাছাকাছি নতুন ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে। এর মধ্যে নতুন জাতের ভাইরাস শতকরা প্রায় ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আগামী ২ মে পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরার নির্দেশ ইতিমধ্যে দেয়া হয়েছে। এবং বিভিন্ন বার ও নাইট ক্লাব সমূহকে আরো অতিরিক্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
এরমধ্যে যারা বৃহত্তর সিউলে বসবাস করে তাদের জন্য ২ মিটার এর সামাজিক দূরত্ব এবং সিউল বাদে বাকি এরিয়া গুলোতে ১.৫ মিটারের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে বলা হয়েছে। এছাড়াও ৫ জনের বেশি একসাথে জমায়েত হওয়া নিষিদ্ধ রয়েছে।
পাশাপাশি কোরিয়ান স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ভ্যাকসিন কার্যক্রমও জোরালোভাবে অব্যাহত রেখেছে। ফাইজার ভ্যাকসিন কোম্পানির সাথে আরো নতুন ২০ মিলিয়ন লোকের জন্য চুক্তি করেছে ইতিমধ্যে।
সরকারের টার্গেট এই মাসের শেষ নাগাদ প্রায় তিন মিলিয়ন, আগামী জুন মাসের শেষ নাগাদ প্রায় ১২ মিলিয়ন লোকের টিকা দেয়া সম্পন্ন করা। এবং সরকারের আশা আগামী নভেম্বর নাগাদ কোরিয়াকে একটা মোটামুটি ভ্যাকসিন এর আওতায় নিয়ে আসা।
ইতোমধ্যে, গতকাল পর্যন্ত প্রায় ২২ লক্ষ লোকের প্রথম ডোজ সম্পন্ন হয়েছে, শতকরা মোট জনসংখ্যার প্রায় পাঁচ শতাংশের মতো, অন্যদিকে এক লক্ষ ৫৮ হাজার লোকের দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন হয়েছে। কোরিয়াতে বর্তমানে ২০৪টি ভ্যাকসিন সেন্টার রয়েছে, খুব শীঘ্রই আরো ৫৩টি এই বহরে যুক্ত হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, কোরিয়াতে আজ পর্যন্ত মোট করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১১৮ হাজারের মতো, মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ১০৮ হাজার এবং আজ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৮১২জন।
সুত্র: korea times